
ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): টাইফুন কালমেগির প্রভাবে মধ্য ফিলিপাইনে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ১শ’ ১৪ জনের প্রাণহানি ও ১শ’ ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানে এ কথা বলা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সেবু প্রদেশের শহরগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ বন্যা দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যার পানির স্রোতে গাড়ি, এমনকি বিশাল জাহাজের কন্টেইনারও ভেসে গেছে। ঝড়টি এখন ভিয়েতনামের দিকে সরে যাচ্ছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
জাতীয় নাগরিক প্রতিরক্ষা অফিস বৃহস্পতিবার ১শ’ ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও সেবুর প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেকর্ড করা অতিরিক্ত ২৮ জনের মৃত্যুর সংখ্যা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সেবু সিটির কাছে অবস্থিত লিলোয়ান শহরের বন্যার্ত এলাকা থেকে ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা বন্যার পানিতে একটির ওপর আরেকটি গাড়িকে স্তূপীকৃত অবস্থায় ও ভবনের ছাদ ভেঙে পড়া দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা কাদামাটি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।
বন্যার ফলে লিলোআনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবার আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকাটিতে জরুরি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ লেফটেন্যান্ট স্টিফেন পোলিনার বুধবার এএফপিকে বলেন, পাশের নেগ্রোস দ্বীপে, কালমেগির ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগ্নেয়গিরির ছাইভস্ম ও জমাট কাদা প্রবাহ গলে গেছে।
এই ছাইভস্ম ও কাদা প্রবাহ ক্যানলাওন শহরের ঘরবাড়িকে চাপা দিয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে নেগ্রোস দ্বীপে কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
পোলিনার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, বৃষ্টি নামতেই গত বছরের অগ্ন্যুৎপাতের পর কানলাওনের উঁচু অংশে জমে থাকা আগ্নেয় পদার্থগুলো নিচের গ্রামগুলোর দিকে ধসে পড়ে।
আকস্মিক এই ভূমিধস ও কাদার স্রোতে কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
টাইফুন আঘাত হানার ২৪ ঘণ্টা আগে সেবু সিটির আশপাশের এলাকা ১৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার, প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়েট্রো পরিস্থিতিকে ‘বিধ্বংসী’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।