
ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি তার কট্টর সমালোচক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নগরবাসীর জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
শুরুতে তেমন গুরুত্ব না পেলেও এই মার্কিন মুসলিম আইনপ্রণেতা নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়ে পর্যবেক্ষকদের চমকে দিয়েছেন। এক ব্রিফিংয়ে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউস এখনো আমাকে অভিনন্দন জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কবাসীর সেবায় আমরা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে আমি এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।’
তিনি জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রতিও ইঙ্গিত দেন।
ট্রাম্পের মতো মামদানিও তার নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, মূল্যস্ফীতির প্রভাব এবং বাজার খরচ বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে রেখেছিলেন। এই ইস্যুগুলোকেই সামনে রেখে তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্রচার প্ল্যাটফর্মকে পরাজিত করেন।
মামদানি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রেসিডেন্টের জন্য এ নির্বাচন থেকে শিক্ষা হলো- শুধু খেটে খাওয়া আমেরিকানদের জীবনে চলমান সংকট চিহ্নিত করাই যথেষ্ট নয়, সেই সংকট মোকাবিলায় কাজ করে দেখাতে হবে।’
মামদানি ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় থেকে সরকারি শাটডাউনের সময় খাদ্য সহায়তা স্থগিত করতে চেয়েছিলেন।
সিটি বাসে ফ্রি যাতায়াত, বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ডে-কেয়ার চালু এসবই ছিল মামদানির মূল প্রতিশ্রুতি।
নির্বাচনে জেতার পর মামদানি বলেন, ‘দেশের রিপাবলিকানরা এই কারণেই ভয় পাচ্ছেন যে, আমরা সত্যিই এই এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করব।’
বুধবার মামদানি তার অন্তর্বর্তীকালীন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাঁচজন নারীকে কো-চেয়ার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
এই পাঁচজনের মধ্যে আছেন জো বাইডেনের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)-এর চেয়ারম্যান লিনা খান। আরেকজন হলেন মারিয়া টরেস-স্প্রিংগার, যিনি বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের কারণে ডেপুটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।