দিলরুবা খাতুন
মেহেরপুর, ২৬ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : ২৬ জুলাই ২০২৪, মেহেরপুর ছিল আতঙ্কের শহর। সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আন্দোলন করলেও মেহেরপুর ছিল এর ব্যতিক্রম। কারফিউ ভেঙ্গে ছাত্র-জনতা শহরে নামার সাহস পায়নি। তবে সারাদিনই জনমনে ছিল উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা। না জানি কী ঘটে।
ছোট্ট একটা জেলা কৃষি নির্ভর মেহেরপুর। কলকারখানাহীন এই জেলায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থান নেয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এদিন বন্ধ ছিল। এখানে আন্দোলন করার জন্য শিক্ষার্থীরা একত্রিত হতে না পারলেও শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনে সব শ্রেণির মানুষের সমর্থন চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে।
এদিন মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত মাত্র চার ঘণ্টার জন্য খোলা ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সীমিত।
অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, বৈদ্যুতিক সার্ভিস ব্যবস্থা সচল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল স্বাভাবিক। শহরে যোগাযোগের বাহন রিকশা এবং ইজিবাইক চলাচল ছিল তুলনামুলকভাবে কম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে মেহেরপুরের বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম বাসসকে বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় সংবাদকর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয়। কিন্তু এদিন তেমন কিছুই ঘটেনি।’
মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, এদিন শহরে কারফিউ থাকায় পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়।’