সাভার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ২০২৪ এর ২৭ জুলাই ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ের সর্বত্র ছিল থমথমে পরিস্থিতি। সড়ক-মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল ব্যবস্থা পুরো পরিবেশকে আরও ভীতিকর করে তুলে।
তৎকালীন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে কারাগারে) আব্দুল্লাহিল কাফি’র নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও তাদেরকে গ্রেফতার করতে ব্যস্ত হয়ে উঠে প্রশাসন।
এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে শহীদ হয় মেধাবী শিক্ষার্থী, সাধারণ জনতাসহ অন্তত ১০ জন। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া এ অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়ানক করে তুলে।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মাঝেও।
হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদিন রাজপথে থাকলেও পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় মাঠে নামেনি স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা।
জাবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এদিনও মারমুখী আচরণ করেন।
জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলোকুর রহমান বাসসকে জানান, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এদিন আমরা ছাত্রদলও হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ একাধিক দাবি তুলে বিক্ষোভ করি। কিন্তু সরকারের পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপর চড়াও হয়। অনেককে পিটিয়ে আহত করে। এতে করে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হয়। আমরা দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ ছিল অন্যরকম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের আচরণ ছিল বিদ্বেষমূলক, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই।