ফেনী, ২৯ জুলাই ২০২৫(বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি দিতে বাধ্য করায় ২৯ জুলাই ফেনী শহরে ছাত্ররা জমায়েত হন। সেখান থেকে তারা একটি প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোগ নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই শহরের প্রধান সড়ক ট্রাংক রোড ও শহিদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা সশস্ত্র অবস্থান নেয়।
আন্দোলনের মাঠে দায়িত্বপালনকারী গণমাধ্যম কর্মী আরিফ আজম জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বাসসকে বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ২৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি রামপুর লাতু মিয়া সড়ক হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে ওঠে। সেখানে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে অগ্নিঝরা স্লোগান দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থানের পর ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা সড়ক থেকে সরে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনী জেলার সহ-সমন্বয়ক সালমান হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনের শুরুর দিকে যারা অংশ নিতো তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে রাখতাম। ছাত্রসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করতাম। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে কথোপকথনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে দায়িত্ব বণ্টন করে দিতাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মাহমুদ আজিম বাসসকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অমানবিক অত্যাচারের শিকার হই। ১৮ জুলাই ও ২০ জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হই। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার আন্দোলন এখনো চলমান রয়েছে বলে মনে করি।’