।। এ.এস.এম.নাসিম ।।
নোয়াখালী, ১ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আহ্বানে ১ আগস্ট সারাদেশে ‘রিমেম্বারিং দ্য হিরোস’ কর্মসূচি পালন করা হয়। নোয়াখালীতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রায় ৩০ হাজার ছাত্র-শিক্ষক-জনতার সমাবেশ ঘটে।
সারাদেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন, গুম, খুন, মামলা এবং দমন-পীড়নও পুলিশের গুলিতে আহত ও শহীদদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে ১ আগস্ট এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে নোয়াখালীর মাইজদী সুপার মার্কেটের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সমাবেশে বক্তারা ৯ দফা দাবি জানান এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা সেখানে একত্রিত হয়েছিলাম আমাদের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের স্মরণ করতে। যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছে এবং গুম হয়েছে। অথবা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বলি হয়েছে। এই রাষ্ট্র যদি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ রোধ করতে চায়, তাহলে আমাদের আরও উচ্চস্বরে কথা বলতে হবে। কোনো ভয় আমাদের দাবিকে থামাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বাস্তবেই রাষ্ট্র আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে পারেনি। আমাদের সাহসিকতায় আমরা সেদিন স্বৈরাচারকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেদিন আমাদের স্পষ্ট দাবি ছিল, ‘অবিলম্বে দমন-পীড়নের নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সমন্বয়ক আবু সুফিয়ান আন্দোলনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, সেদিন আমরা দেখেছি যে, দেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা রাজপথে আসে, তাদেরই গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। এই বর্বরতা বন্ধ না হলে ছাত্রসমাজ আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। আমাদের আন্দোলন সেদিন নোয়াখালী থেকে হলেও, একই দাবির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা দেশে।'
তিনি বলেন, সেদিন আমাদের মনে যতটুকু ভয় ছিল তার থেকে বেশি ছিল সাহস। গণঅভ্যুত্থানের আহত ও শহীদেরাই আমাদের সে সাহস যুগিয়েছে। আমাদের ভাইরা যখন রাজপথে রক্তে রঞ্জিত হচ্ছিল, তখন আর আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি নি। তাই আমরা সেদিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। নোয়াখালীর হাজারো ছাত্র জনতা আমাদের সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল।