শীত আসতে না আসতেই বরিশালে ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা 

বাসস
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৬
ছবি : বাসস

মোফাজ্জেল হোসাইন

বরিশাল, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শীত আসতে না আসতেই বরিশালে ফুটপাতের দোকানে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা মাঠ-ঘাট জানান দিচ্ছে এসেছে শীত। মহানগরীতে ইটকাঠের ভিড়ে শীতের পরশ একটু দেরিতে এলেও গ্রামে উঁকি দিতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকে শীত আসে এ দেশের মাঠে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে। কুয়াশা ভেদ করেই পূব আকাশে উঁকি দিচ্ছে ভোরের লাল সূর্য। নদীর জলে ও ঘাসের ওপরেও সূর্য কিরণে ঝিলিক দিচ্ছে শিশির বিন্দু। গ্রামে শীতের কিছুটা তীব্রতা থাকলেও নগরীতে শীতের পরশ একটু দেড়িতেই পরে। 

অল্প স্বল্প শীত পরার সাথে সাথেই বরিশাল নগরীজুড়ে গরম কাপড়ের বাজারগুলোতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। সস্তা দামে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা ফুটপাতের এসব দোকানে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। 

এরমধ্যেই বরিশালে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বাজার। আগে ভাগে শীতের গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন দোকানে। তবে গত বারের তুলনায় এ বছর শীতের কাপড়ের দাম বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। নতুন শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য যাদের নেই, মূলত সেইসব মানুষেরা ভিড় করছেন নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, শীত বাড়লে বেচা কেনা আরো বাড়বে।

বরিশাল নগরীর আব্দুল মানিক পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। ফুটপাতে দাড়িয়ে তার ছোট ছেলের জন্য বেছে বেছে কিনছেন শীতের পোশাক। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আগেই এসব দোকানে ভিড় করছেন তার মত আরও অনেকে। সস্তা দামে আর ভালোভাবে দেখে শুনে সাধ্যের মধ্যে গরম কাপড় কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। 

শীতের পোশাক বিক্রিতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে, ডিসি মার্কেট। জানাযায়, চট্টগ্রাম থেকে পুরনো কাপড়ের গাইড এনে এখানে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। মান ভালো এবং দামও তুলনামূলক কম। তাই মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি নগরীর বিত্তবানদেরও এ মার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে দেখা যায়। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বাড়তি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। 

নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বলেন, মার্কেটে নতুন কিছু কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগে, তাই রাস্তার পাশের ভ্যান থেকে কিনছি। এখানে বেছে বেছে নেয়া যায়, দামও কম। 

নগরীর সদর রোড, লঞ্চঘাট, জাদুঘরের সম্মুখ, নতুন বাজার, রূপাতলী, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, সাগরদীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের ওপর এবং ভ্যান গাড়িতে করে শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ২ শতাধিক ব্যবসায়ী। গত বছর এই সময়ে ফুটপাতের এসব দোকানে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছিল বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

শীতের পোশাক বিক্রেতা শামীম বলেন, গাইড কিনে এনে এখানে বিক্রি করি। ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামের শীতের গরম পোশাক পাওয়া যায়। মানও বেশ ভালো। এখানে সবধরনের ক্রেতারাই আসেন। সামনে শীত বাড়লে বেচাবিক্রি আরো বাড়বে। এ মার্কেটে শীতের কাপড়ের দোকান রয়েছে, ১০০ থেকে ১২০টি। ফুটপাতের এই দোকান গুলোতে শীতের কাপড় মিলছে ২০ টাকা ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর মার্কেটের ভেতরের দোকান গুলোতে শীতের কাপড়ের ভিন্নতা রয়েছে ধরন অনুযায়ী। তবে শুধু মাত্র শীতের কাপড়ই নয় কম্বল, মাফলার, জ্যাকেটসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক বেচাকেনা হচ্ছে এসব দোকানে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান
এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় কার্যকরের দাবি নাহিদের
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানালেন শহীদ ওয়াসিমের বাবা ও শান্তর মা
হাসিনার বিরুদ্ধে রায় প্রমাণ করে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: প্রধান উপদেষ্টা
মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষায় বিশেষ কোটা
খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত বিজয় হবে না: গণঅধিকার পরিষদ
প্রভোস্ট আ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবি অমর একুশে হলের ১৩ শিক্ষার্থী
লিওনাইস ৩য় গ্র্যান্ড মাস্টার্স দাবা প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ড অনুষ্ঠিত
ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এ রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ : গণসংহতি আন্দোলন
জাঞ্জিবারকে উড়িয়ে দিয়েছে নেপাল
১০