অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

প্রতিবেদন : আমিনুল ইসলাম 

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): দায়িত্ব নিয়েই খাদের কিনারে থাকা অর্থনৈতিকে পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহতা এতই গভীরে ছিল যে এর ভেতরে না গেলে বলে বুঝানো যাবে না। 

আমরা ইমেডিয়েটলি সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমত বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবগুলো ব্যাংকে, বিশেষ করে,  যেগুলো সমস্যাগ্রস্থ ছিল সেগুলো এবং অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের যত ট্রানজেকশন ও আদান-প্রদান আছে, সেগুলোর স্টক ট্র্যাকিং করে ডিউটি রেজিস্ট্রার করতে নির্দেশ দিয়েছিলাম, যাতে ফারদার লোন অনুমোদনের সময় সেগুলো এক্সিবিশন (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) করে দেখা হয়। 

রোববার বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাসস-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. আমিনুল ইসলাম।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কৌশল সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, প্রথমত, দায়িত্ব নেয়ার পরপরই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যাংকের ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেসব ব্যাংকে মিস গভর্নেস ছিল, সেগুলোর কন্ট্রোল নিয়ে ঠিক করতে বলেছিলাম। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বহু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যান এবং বোর্ড ও ম্যানেজমেন্টের পরিবর্তন আনে। সেই প্রচেষ্টা এখনও চলমান রয়েছে। শেষ করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। 

এছাড়া নতুন লোন বিতরণ না করার পাশাপাশি ব্যালেন্স অব পেমেন্টের মুড ঠিক রাখতে এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কিছুটা বিধি-নিষেধ আরোপ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি ব্যাংকগুলোর এমডি, চেয়ারম্যান ও বোর্ড পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখনও সে প্রচেষ্টা চলছে। শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।

এছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বেসিক ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) হাউজবিল্ডিং করপোরেশনসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবর্তন এনেছি। 

৬টি ব্যাংকে অডিটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হালনাগাদ খেলাপি ঋণ কত আছে, তা বের করবে। এছাড়া প্রত্যেকটি ব্যাংকের ঋণের কোয়ালিটি, এ্যাসেট কোয়ালিটি ও সম্পদের লাইবেলিটিজ কত আছে, তা নিরূপণ করবে। তারপর তারা ডিস্ট্রেজ লোন সম্পর্কে একটি পদক্ষেপ নেবে। যেটা এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। 

এসব পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বর্তমানে সার্বিকভাবে ব্যাংকিং সেক্টর ভালো করছে। পুঁজিবাজারও ভালো করছে। ওদিকে এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করা, কাস্টমস ও ইনকাম ট্যাক্স আদায় পদ্ধতিকে সহনীয় করতে বলা হয়েছে। এর ফলে এবার অনলাইনে ইনকাম ট্যাক্স আদায় বেড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরে ইনকাম ট্যাক্স বাড়ছে। সরকারি কর্মচারী ও আন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা এতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। কোম্পানিতে আমরা এটা পরে শুরু করব।