স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে সুপারিশ

বাসস
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৫

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

১৮ নভেম্বর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপনে প্রফেসর তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠিত হয়।

কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু কাজ পরিপূর্ণভাবে শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে, তাই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেষ করতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে জাতীয় নেতারার সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করছে।

তাই স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন আলোচনা ও ঐকমত্যে উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য এ কমিশনের তৈরিকৃত প্রাথমিক কিছু মৌলিক সুপারিশ এখনই সরকার ও ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার জন্য উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রাথমিক সুপারিশের সঙ্গে আরও দুইটি অধ্যায় বিশেষত সারা দেশে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে ৪৬ হাজার ৬৮০ জন উত্তরদাতার মধ্যে পরিচালিত মতামত জরিপ এবং নির্বাচন বিষয়ক একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংবিধান নারীকে প্রজাতন্ত্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূল ধারায় নিয়ে আসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। সংবিধানের ২৮(২) ধারায় বলা হয়েছে যে নারীরা রাষ্ট্র ও জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকার ভোগ করবে, ধারা ২৮(৪), অনুযায়ী রাষ্ট্র নারীদের, শিশুদের বা সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করবে।’

কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুরো পরিষদের এক তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড (একক অসন) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রতিটি পরিষদে ও কাউন্সিলে মোট ওয়ার্ডের এক তৃতীয়াংশ প্রতি নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। স্থানীয় সরকারের নুতন কাঠামো অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা পদাধিকার বলে চেয়ার ও মেয়র কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্যপদ লাভ করবেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়।

স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের স্থায়ী কমিটিগুলোতে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ আনুপাতিক হারে চেয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। প্রস্তাবে বলা হয়, দক্ষ নারী সদস্যগণ চেয়ারপার্সন ও মেয়র, সভাধ্যক্ষ ও ছায়া পরিষদ নেতা ইত্যাদি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করতে পারবেন।

তিনটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে বিভিন্ন জাতিসত্তা অধ্যুষিত এলাকার নারীরা এই সংরক্ষিত নারী আসনের বিশেষ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য ওয়ার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং সে মোতাবেক নারী সদস্যদের আনুপাতিক কোটা নির্ধারণ করা হবে বলে স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়নি : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৩ বিলিয়ন ডলারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছে : টুকু
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় ভোলায় এনসিপির মশাল মিছিল
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি ঢাবি সাদা দলের
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে এনসিপির বিক্ষোভ ও রোড ব্লক কর্মসূচি
জুলাই বিপ্লবকে জীবিত রাখতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে : মাহমুদুর রহমান 
জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ সমাবেশ
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৫৫ জনকে পুশইন
১০