পুলিশ পরিষেবা কর্মসূচি উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ সংস্কার কমিশনের

বাসস
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৩

ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : পুলিশ সংস্কার কমিশন (পিআরসি) সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় অনলাইন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ফাইলিং এবং নারী হেল্পলাইনের মতো পুলিশের পরিষেবা ভিত্তিক কর্মসূচিগুলো আরো উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

পুলিশ সংস্কার কমিশন বলেছে, ‘পুলিশের পরিষেবা-ভিত্তিক কর্মসূচিগুলো উন্নত করতে হবে এবং আরো আন্তরিক ও নিবেদিত জনবান্ধব পুলিশিং উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

পিআরসি’র এক সমীক্ষায় প্রাপ্ত মতামতে বলেছে, বিভিন্ন পুলিশ পরিষেবার প্রতি বেশিরভাগ উত্তর দাতার অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।

পুলিশকে আরো জনবান্ধব করতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে পিআরসি ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক এ জরিপটি পরিচালনা করে।

পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিছু পুলিশ সদস্যের আক্রমণাত্মক ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়ে দেশ-বিদেশে সাম্প্রতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

জরিপটি এখন পিআরসি’র ওয়েবসাইটে (www.prc.mhapsd.gov.bd) পাওয়া যাচ্ছে।

সমীক্ষায়  দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা ব্যাপক প্রচারিত পরিষেবা কর্মসূচি ৯৯৯ জরুরি কল পরিষেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কিন্তু, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৪,৪৪২ জনের মধ্যে বেশিরভাগ উত্তরদাতা অনলাইন জিডি প্রোগ্রাম, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত নারী হেল্পলাইন, কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং প্রোগ্রাম, নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ডেস্ক এবং ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সমীক্ষায় দেখা যায়, মাত্র ২৩.৬ শতাংশ উত্তরদাতা অনলাইন জিডি প্রোগ্রামে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং প্রায় ৪৫.৮ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ১৭.৫ শতাংশ প্রোগ্রাম সম্পর্কে সচেতন নন।

একইভাবে ৩৫.৫ শতাংশ উত্তরদাতা সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত মহিলাদের হেল্পলাইন প্রোগ্রাম সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২৪.১ শতাংশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং ৩৮.১ শতাংশ প্রোগ্রাম সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন সম্পর্কে, ৩৭.৮ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ৩৮.১ শতাংশ এ সম্পর্কে অবগত নয়। আর মাত্র ২৪. শতাংশ তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

পিআরসি বলেছে, ‘পুলিশকে সেবামুখী এবং জনবান্ধব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যাপক প্রচার এবং কার্যকর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পূর্বোক্ত কর্মসূচিগুলোকে ত্বরান্বিত করা অপরিহার্য।’

এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে কিছু জনবান্ধব পুলিশ সেবা কার্যক্রম চলছে।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পিআরসি বলেছে, দু-একটি কর্মসূচি ছাড়া বাকি কর্মসূচিগুলোর কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় বা তাদের কার্যক্রম জনমতের ওপর খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি বলে সহজেই অনুমান করা যায়।

অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে, পিআরসি বলেছে, এটি জনমতের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি এবং পরিষেবাটি উন্নত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের বিষয়ে, সংস্কার কমিশন বলেছে, শুধুমাত্র ২৬.৭ শতাংশ উত্তরদাতা কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘কার্যক্রমের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন
মা ইলিশ সংরক্ষায় ৩৮ জেলার ১৭৮ উপজেলায় অভিযান: আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক ঢাকায় জয়েন্ট কমিটির বৈঠক
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেয়া হবে: আলী রীয়াজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সুর ও ছন্দে ঢাবিতে শরৎ উৎসব উদযাপন
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু করবো: ফারুকী
১০