ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের উদ্দেশ্য বহির্ভূত খাতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম  জানান, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, সিকদার পরিবার ও দেশ টেলিভিশন লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে দেশ টেলিভিশন লি.-এর কতিপয় কর্মচারীর নামে ভুয়া তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামের একটি কাগুজে ডেভলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত করে ওই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে ১৬তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক লি., মহাখালী শাখায় ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নামে ৪৯০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।

প্রকল্পের জমি কোম্পানির নিজস্ব জমি না হওয়া সত্ত্বেও নিজস্ব জমি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে, একই ব্যাংক শাখা থেকে হাসান টেলিকম লি.-এর নামে গৃহীত ঋণের মর্টগেজকৃত সম্পত্তির মর্টগেজ সম্পর্কিত তথ্য গোপন করে তা মর্টগেজ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ব্যাংকিং নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকের নির্বাহী ও কিছু অসৎ কর্মকর্তার সহযোগিতায় অবৈধভাবে ৪৯০ টাকা ঋণ মঞ্জুর ও তা উত্তোলন করে ঋণের উদ্দেশ্য বহির্ভূত খাতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ঋণের আসল ৪৯০ কোটি টাকা আত্মসাত করেন এবং গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনাদায়ে সুদ ও অন্যান্য চার্জ বাবদ প্রাপ্য ১৭৮ কোটি ৮৯ লাখ ১১ হাজার ৪১২ টাকা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন।

তারা দণ্ডবিধির ১২০বি/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় উল্লিখিত ধারায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়েরের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লি.-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ শরীফ উজ্জামান খান, চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল, পরিচালক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, পরিচালক তওসিফ সাইফুল্লাহ্, দেশ টেলিভিশন লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হাসান টেলিকম লি.-এর চেয়ারম্যান ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট লি.-এর শেয়ার হোল্ডার আরিফ হাসান, ন্যাশনাল ব্যাংক লি.-এর সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ রইস উদ্দিন, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও কোম্পানি সেক্রেটারি এ এস এম বুলবুল, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোসতাক আহমেদ (সি এম আহমেদ), পরিচালনা পর্যদের সাবেক পরিচালক মনোয়ারা সিকদার, সাবেক পরিচালক পারভীন হক সিকদার, সাবেক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক পরিচালক খলিলুর রহমান, সাবেক পরিচালক মাবরুর হোসেন ও মোহাম্মদপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রজব আলী।