শিরোনাম
ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা অনুষ্ঠান ‘দুর্বার ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য মেধাবী (শারীরিক প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের পক্ষ হতে ছয় দফা দাবি ও দু’টি করণীয় উপস্থাপন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আব্দুর রব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. ফখরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাহিদুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি যে মনোভাব রয়েছে, তা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এই শিক্ষার্থীরা তাদের অদম্য মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা চাই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত হোক। আমরা চাই, তারা সংসদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় অংশ নিতে সক্ষম হোক। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করবো এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিশেষ প্রয়োজন সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার আলোকে ভাতা ও শিক্ষাবৃত্তি বাড়ানো এবং সহায়ক উপকরণ সহজপ্রাপ্য করা। সরকারি-বেসরকারি ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের অবকাঠামো এবং গণপরিবহনকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিবন্ধীবান্ধব করা। জাতীয় সংসদ ও নীতিনির্ধারণী জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়ক উপকরণ, প্রশিক্ষিত শিক্ষক, বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি ও প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো নিশ্চিত করা।