ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধবিষয়ক (এআরএফ আইএসএম অন সিটিটিসি) দুই দিনের ২১তম ইন্টারসেশনাল সভা আজ রাজধানীতে শেষ হয়েছে।
এ ইন্টারসেশনাল সভা (আইএসএম) পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ মাদক, রাসায়নিক, জৈবিক, তেজস্ক্রিয় ও পারমাণবিক (সিবিআরএন) বিষয়, হিংসাত্মক চরমপন্থা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা, মানব পাচার ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা।
আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রচলিত ও অপ্রচলিত উভয় উৎস সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিটিটিসি বিষয়ক এআরএফ আইএসএম-এর কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ অন্য দুটি কো- চেয়ার দেশ ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে।
দুই দিনের এই বৈঠকে এআরএফ-এর ২৭টি অংশগ্রহণকারী দেশের কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন।
১৯৯৩ সালের ২৩-২৫ জুলাই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ২৬তম আসিয়ান মিনিস্টারিয়াল মিটিং এবং পোস্ট মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স অভিন্ন স্বার্থ ও উদ্বেগের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে গঠনমূলক সংলাপ ও পরামর্শ জোরদার করার জন্য আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আস্থা-নির্মাণ ও বিরোধ নিরসনমূলক কূটনীতির প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখাও এর লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে যোগ দেয় এবং প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ বিষয়ক এআরএফ আইএসএম-এর কো-চেয়ারের দায়িত্ব পায়।