ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, মানিলন্ডারিং ও অবৈধভাবে পদোন্নতির অভিযোগে দেশের তিনটি গুরত্বপূর্ণ জায়গায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
আজ দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের 'বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প' -এর আওতায় ১৬টি অ্যাপস ও সফটওয়্যার তৈরিতে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে প্রকল্পের আরডিপিপি, আইএমইডি পরিদর্শন প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়। টিম জানতে পারে, বর্ণিত প্রকল্পে মোট ৪৫টি প্যাকেজের মধ্যে ১৬টি সফটওয়্যার ও অ্যাপস তৈরির কার্যক্রম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্র সার্চ ইঞ্জিন, বাংলা ওসিআর, স্পেল চেকার ও ট্রান্সলেটরসহ এআইভিত্তিক বিভিন্ন সেবা। প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে মর্মে টিম তথ্য পায়। উক্ত প্রকল্পে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওটিএম-কিউসিবিএস পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও প্রাথমিকভাবে একই প্রতিষ্ঠানকে একাধিক কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে বলে টিমের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে। অভিযানকালে সংগৃহীত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ শেষে টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।
এদিকে নৌ-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অসাধু যোগসাজশে রাষ্ট্রীয় অর্থ পাচারের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং-অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সকল তথ্যাবলি এবং হিসাব বিবরণী সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন এবং প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনাপূর্বক অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে যাচাইপূর্বক কমিশনের কাছে বিস্তারিত এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) শ্রমিকদের অবৈধভাবে বিভিন্ন উচ্চপদে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চসিক নগর ভবনে দুদকের চট্টগ্রাম-১ জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে টিম সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে শ্রমিক পদে অস্থায়ী নিয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এসব পদায়নে নিয়োগ বিধিমালার উপেক্ষা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হয়েছে বলে দুদক টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক চসিক কর্তৃপক্ষের নিকট সংশ্লিষ্ট সকল নিয়োগ ও পদায়নের রেকর্ডপত্র এবং অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চাওয়া হয়েছে। সংগৃহীত নথিপত্র বিশ্লেষণপূর্বক টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।