মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জন রিমান্ডে

বাসস
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৯

ঢাকা, ৮ জুলাই,  ২০২৫ (বাসস):  মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার চার জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত। 

আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে, মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর কে এম তারিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ ও মাহফুজ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসলে নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহিদ আহমেদকে মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করেন পুলিশ।

পরের দিন শুক্রবার (৪ জুলাই) তাদেরকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। 

এরপর তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এম মিসবাহ উর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এদিকে গতকাল সোমবার কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে মাহফুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মালয়েশিয়া জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় গত ৫ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করেন পুলিশের বিশেষ শাখা এন্টি টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এটিইউ)’র পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামীরা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার প্ররোচনা চালিয়ে আসছিল। 

আসামীরা সংগঠনের প্রচার-বায়াত বা আনুগত্যের শপথ পরিচালনা এবং ধর্মীয় আলোচনা ও গোপন বৈঠকের মত কার্যক্রম আয়োজনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করত মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়। আসামীরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেই দেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোন অংশে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনাকালে মালয়েশিয়ান পুলিশ ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

আসামীরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে এবং সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। 

তারা সন্ত্রাসী সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা প্রদান করে। 

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিরা নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো বার্তা বিনিময় অ্যাপস ব্যবহার করা মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রকাশ পায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংসদ নির্বাচন : জামায়াতসহ আরও ১২ দলের সঙ্গে ইসি’র সংলাপ সোমবার
হুতিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
কুয়েটে চাকুরীবিধি, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ
পটুয়াখালীতে দুশ্চিন্তায় লেপ-তোষক কারিগরেরা
গণভোটের চারটি প্রশ্নের কোনো একটিতে দ্বিমত থাকলে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়- প্রশ্ন রিজভীর
জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি হয়ে জনগণের মাঝে ফিরবেন তারেক রহমান : মিনু
খাগড়াছড়ির পাড়াবন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ‘রোল মডেল’ হতে পারে
৭৭ বছরে পা দিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস
আগামী নির্বাচন আগের মত হলে জাতি চরম দুর্ভোগে পড়বে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের উদ্বোধন
১০