ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত আগস্ট মাসে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-১৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ১৮ কেজি ৭৩০ গ্রাম রূপা, ৮ হাজার ৭৩৯টি শাড়ি, ৪ হাজার ৯০৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৯৭৭টি তৈরি পোশাক, ৯ হাজার ৬০৩ মিটার থানকাপড়, ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৭২টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৪১ হাজার ৩৩১ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৪ লাখ ১ হাজার ৫১৩টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৫৪৬ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ১৯৪ কেজি চা পাতা, ৭ হাজার ৩২১ কেজি সুপারি, ১ হাজার ৩৭৬ কেজি সার, ৪৫ হাজার ৫৫০ কেজি কয়লা, ৫৩ হাজার ৫৪৫ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ৮৬৫টি মোবাইল, ৬ হাজার ৭০৭টি মোবাইল ডিসপ্লে, ২০ হাজার ১০৪টি চশমা, ৭ হাজার ২২০ পিস যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ৭ হাজার ৩১৮ কেজি জিরা, ১৪ হাজার ৩৭৩ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৪৬৭ কেজি পেঁয়াজ, ৮ হাজার ৩৮৮ কেজি রসুন, ১ হাজার ৬২ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬১ পিস চকোলেট।
এছাড়াও ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৩টি পিকআপ/ট্রাক্টর, ১টি ট্রলি, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৫৬টি নৌকা, ৪০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৬টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল/ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি দেশি/বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১টি এসএমজি, ৩টি রাইফেল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮১৫ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৮টি অন্যান্য অস্ত্র।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ৬০১ গ্রাম হেরোইন, ৭ হাজার ৮৮৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৫২৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৬৭ লিটার বাংলা মদ, ৫৭৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫৪৮ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯৮ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২০২ কেজি তামাকপাতা, ২০ বোতল এলএসডি, ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪ হাজার ১৪৫ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২০ হাজার ৭২০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯০টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৯ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৫৪৬ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।