আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে: ডা. জাহিদ 

বাসস
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪৮
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যারা গণহত্যাকারী ও গণদুশমন ছিল, যারা মানুষকে গুম, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা ও মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি, আয়না ঘর বলেন, গুম বলেন, এনকাউন্টার বলেন এবং অট্টহাসি অর্থাৎ প্রতিহিংসা পরায়ণতার যে চরমপরাকাষ্ঠা উনারা দেখিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার এবং আমরা মনে করি, তারা গণদুশমন।

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়ায় আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে বিএনপি বলেছিল, কাকে গ্রহণ করবে বা করবে না এটা জনগণের বিষয়। এটা কোনো অবস্থাতেই আইন আদালত অথবা সরকারি সিদ্ধান্তে করার যে প্রক্রিয়া, এটার সাথে বিএনপি সবসময় দ্বিমত পোষণ করেছিল। বিএনপি বলেছিল জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, যারা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছে এবং বাস্তবায়নে জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

সেটা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোন, দলের শীর্ষ নেতা বা কর্মী কেউই দায়মুক্ত নন। একইসঙ্গে, যারা সরকারি কর্মকর্তা বা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য হিসেবে সীমা ছাড়িয়ে কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এসব কাজ অনেক সময় তাদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে করা হয়েছে। বিএনপি সবসময় এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে এবং এখনও রয়েছে।

ডা. জাহিদ প্রবীণদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্র যদি বয়স্ক, বিধবা ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা প্রদান করে, তাহলে প্রবীণদের জন্য আলাদা উইন্ডো বা বিশেষ সুবিধা তৈরি করাও সম্ভব। এর জন্য শুধু সঠিক পরিকল্পনা ও মনোযোগ প্রয়োজন, অতিরিক্ত আর্থিক সম্পদ সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, যে বিশাল অংকের অর্থ দেশের বাইরে চলে গেছে, সেটি নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কিন্তু আসলে এত বড় অঙ্কের প্রয়োজন নেই। যদি আমরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হই এবং প্রজেক্টগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে অল্প অর্থ দিয়েই প্রবীণদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি অবশ্যই করা উচিত।

আজহার-শফিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি একেএম শামসুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বনানী ও বসুন্ধরা আবাসিক পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে ডিএমপি কমিশনার
নওগাঁয় পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন কৃষকদল নেতা ফজলে হুদা
স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল সব ধর্মের মানুষের যৌথ সংগ্রাম: আসাদুল হাবিব দুলু
স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি
সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়বো: শাহজাহান মিঞা
বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা দুর্গাপূজা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক শিল্পমন্ত্রী হুমায়ুনের হাতকড়ার ছবি ভুয়া: স্বরাষ্ট্র সচিব
এক টেস্ট ও তিন টি২০ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে আফগানিস্তান
কাতারকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউস
রাজশাহী সীমান্তে দুর্গাপূজায় ১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১০