বরিশাল, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছে নানা পরিবর্তন। সৌন্দর্য বর্ধন থেকে শুরু করে সবত্র আধুনিকতার ছোয়ায় রূপ পাল্টে গেছে হাসপাতালের। যা সাধারণ মানুষসহ হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা দেখে মুগ্ধ।
“অকেজো মেশিনারীজ” সচল, ইমার্জেন্সি ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগ চালু, মূল ভবনে রোগীদের প্রেশার কমিয়ে আউট ডোর ডাক্তারদের স্থান পরিবর্তন। ডিসপেনসারি বিভাগ স্থানান্তর, আধুনিক মানের কেবিন, হাসপাতাল ক্যাম্পাসের সংস্কার এবং প্যাথলজি কালেকশন বুথ নতুন করে সাজানোসহ সম্পূর্ণ অটোমেটেড ল্যাব সিস্টেম চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন হাসপাতালটি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর নানা অভিযোগ থাকলেও হাসপাতালের পরিচালক একজন সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় এসব সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
বছর খানেক হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মশিউল মুনীর। যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই ভেতরে ভেতরে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে এ হাসপাতালের। তা অনেকটাই দৃশ্যমান ছিলনা। কিন্তু তার পরিবর্তনের মধ্যে এখন পরিকল্পনাগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবে রুপ নিচ্ছে, আর তাই সবার কাছেই বাহবা পাচ্ছেন তিনি।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে ছাত্র জনতার দীর্ঘ এক মাস আন্দোলন চলাকালীন সময় থেকেই নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে হাসপাতালটিতে। যা বিগত সরকারের আমলে এমন পরিবর্তন হয়নি শেবাচিম হাসপাতালের।
প্রতিনিয়তই হাসপাতালের এসব পরিবর্তন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে অনেকে বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মশিউল মুনীরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
হাসপাতালের পরির্বতন নিয়ে ডা. আব্দুল মনেম স্বাদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট করে এমনটাই লিখেছেন (হুবহু তুলে ধরা হলো) এটা দেখে নিশ্চয়ই কোন বেসরকারি হাসপাতালের ছবি মনে হচ্ছে!!!! কিন্তু এটা কোন বেসরকারি হাসপাতাল নয়, এটা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজির কালেকশন বুথ। এটি সম্পূর্ণ অটোমেটেড ল্যাব সিস্টেম।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা এগিয়ে চলছি দুর্বার গতিতে। কৃতিত্বের দাবিদার অবশ্যই সুযোগ্য পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মশিউল মুনীর স্যার। পাশাপাশি স্যারের সহযোগী হিসেবে আমিও চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে।
প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মিশু জানান, আধুনিক মানের প্যাথলজির কালেকশন বুথ স্থাপনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ অটোমেটেড ল্যাব সিস্টেম চালু করায় রিপোর্ট দ্রুত সেবা গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে।
এছাড়া আগে ছোট যায়গা থাকায় রোগীদের বসার স্থান ছিলনা, সেখানে বড় পরিসরে বসার স্থান, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বাথরুমের ব্যবস্থা এবং এক সাথে অনেকজন রোগী সেম্পোল দিতে পারায় বিরম্বনা কমছে।