ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে।
সোমবার দলের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে তিনি এ কথা বলেছেন। এ সময় তার সঙ্গে দলের প্রশিক্ষণ সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিক্ষকদের দাবির প্রতি বিএনপি’র পক্ষ থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
এ্যানি বলেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নীতিগতভাবে আপনাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা যে একাত্মতা প্রকাশ করেছি, তার মধ্যে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি, চাকরির সুবিধা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
এ্যানি বলেছেন, ‘আপনাদের যে সামাজিক মর্যাদা রয়েছে, এ মর্যাদাকে আমরা যথেষ্ট অনুভব করেছি এবং গুরুত্ব দিয়েছি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাদের অবহিত করেছেন।’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আরো বলেছেন, শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। আপনাদের আন্দোলনের আগেই বিবিসি’তে এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানিয়েছেন, জনগণের রায়ে সরকার গঠন করার সুযোগ পেলে শিক্ষকদের জাতীয়করণ করবে বিএনপি।
তিনি বলেছেন, এটি খুব হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি দায়িত্বশীল দলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি। সিদ্ধান্তটি নির্বাচনের আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আবারও আপনাদের সামনে পুনরায় উল্লেখ করলাম।
এ্যানি বলেছেন, আপনারা গত ৮-৯ দিন থেকে যেভাবে প্রখর রোদ্রে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, এটা তো করার কথা ছিল না। আগামী দিনে আন্দোলন যেন আর না করতে হয়, সেজন্য পূর্ণ জাতীয়করণের কথাটা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। তিনি বলেছেন, কারণ মর্যাদার জায়গায় আপনাদের আসীন করতে হবে।
শিক্ষকরা জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের জন্য কাজ করছেন। আপনারা আমাদের শিক্ষাগুরু। আপনাদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করলাম।
তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আপনাদের যুক্তি সঙ্গত দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাবি ২০ শতাংশ হয়তো আপনারা পাননি। সরকারকে বলব, ৫ শতাংশ পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে হবে।
আজ সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জড়ো হয়েছেন। শিক্ষকরা ২০ শতাংশ ভাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।