প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ

বাসস
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৫৯
ছবি : বাসস

ঢাকা (উত্তর), ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : আজ শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। 

রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ জাতীয় সেমিনার-২০২৫-এ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ অংশ নেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ৯২% মুসলমানের দেশ। সুতরাং তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করা সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের সুযোগ হলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃজন করে তা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ। 

মুফতি রেজাউল করিম আবরারের সঞ্চালনায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ’র উদ্যোগে। প্রবন্ধ পাঠ করেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সাবেক সচিব ও শিক্ষা অধিকার সংসদের উপদেষ্টা ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম। 

তার উপস্থাপিত প্রবন্ধে প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব, শিক্ষাকর্মীর যোগ্যতার মানদণ্ড এবং পাঠ্যপুস্তক পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয় এবং বলা হয় নৈতিক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। 

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা হলো একটা সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবসভ্যাতার ফাইন্ডেশন। ধর্মীয় শিক্ষা হলো সে ফাউন্ডেশনের মূল শক্তি। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে তা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। 

জুলাই যোদ্ধা ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৬ বছরের ইসলামি শিক্ষা ও আলেমদেরকে যেভাবে ঊনমানুষ করে রেখেছে, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশেও তেমনটি করা হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক। 

খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এই দেশের ৫% মানুষের মধ্যেও গান চর্চার সংস্কৃতি নেই। আর এদেশের  ৯২% মানুষ ইসলাম চর্চা করে। 

সেমিনার থেকে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষানীতি সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে সব ধরণের ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সিদ্ধান্ত বাতিল করার তিন দফা দাবি পেশ করা হয়।

এছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, শিক্ষক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গভর্নর ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ব্র‌্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. আসিফ মাহতাব উৎস, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও প্রফেসর ডক্টর হাসানুজ্জামান চৌধুরী প্রমূখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ
৩১ দফার ভিত্তিতে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে : ড. এনামুল হক চৌধুরী
৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে সত্যিকার অর্থেই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে : সেলিমা রহমান
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ১০ বাল্কহেড জব্দ, ৯ জন আটক
গ্রাম আদালতের মূল লক্ষ্য হলো সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা : অতিরিক্ত সচিব
বিজিবিতে আরও ২,২৫৮ পদ সৃষ্টির অনুমোদন
প্রাণী সুস্থ থাকলে মানুষও নিরাপদ থাকবে : ফরিদা আখতার
স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বরিশালে দোয়া ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত
১০