ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলংকা। কুশল ১২৪ রান করেন। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা বিরাজ করছে।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ১ রান করে টাইগার পেসার তানজিম হাসানের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শ্রীলংকার ওপেনার নিশান মাদুস্কা।
শুরুর ধাক্কা ভালভাবে সামাল দেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও তিন নম্বরে নামা কুশল। ৬৯ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫তম ওভারে নিশাঙ্কা-কুশলের জুটি ভাঙ্গেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ স্পিনার তানভীর ইসলাম। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে পারভেজ হোসনে ইমনকে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। ৪ চারে ৩৫ রান করেন নিশাঙ্কা।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ৩টি চারে ভাল শুরু করেন কামিন্দু মেন্ডিস। কুশলের সাথে ৩১ রানের জুটিতে দলের রান তিন অংকে নেন কামিন্দু। ১শতে পা দিতেই সাজঘরে ফিরেন কামিন্দু। ২০ বলে ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
১০০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন কুশল ও অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা ঘুরতে থাকে শ্রীলংকার। এতে দলের রান দেড়শ পেরিয়ে ২শ স্পর্শ করে। এই জুটিতেই আসালঙ্কা ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি ও কুশল ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। ২০১৭ সালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন কুশল।
৪১তম ওভারে দলীয় ২২৪ রানে কুশল-আসালঙ্কার জমে যাওয়া জুটি বিচ্ছিন্ন করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৯টি চারে ৬৮ বলে ৫৮ রান করা আসালঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ বলে ১২৪ রান যোগ করেছেন তারা।
আসালঙ্কা ফেরার পর কুশলের সাথে ২৫ রান যোগ করে দলের রান আড়াইশর কাছে নিয়ে যান জানিথ লিয়ানাগে। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ২৫৯ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় লংকানদের। এরমধ্যে সেঞ্চুরিয়ান কুশলকে শিকার করেন স্পিনার শামীম হোসেন। ১১৪ বল খেলে ১৮টি চারে ১২৪ রান করেন কুশল।
শেষ দিকে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও দুসমন্থ চামিরার ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রানের জুটিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের ৩শ রানের সুযোগ নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।
তাসকিন ৫১ ও মিরাজ ৪৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম-তানভীর ও শামীম।