ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস) : আগামীকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি- স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।
হংকং ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সুপার ফোরে উঠে বাংলাদেশ। সুপার ফোরেও শুরুটা দারুণ করে টাইগাররা। শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। এই শ্রীলংকার কাছেই গ্রুপ পর্বে ৬ উইকেটে হেরেছিল লিটন দাসের দল।
সুপার ফোরে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৬৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ করেন ওপেনার সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। দু’জনের দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৫ রান দরকার ছিল টাইগারদের। শেষ ওভারের প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচের স্কোর সমান করে বাংলাদেশ। এরপর তিন বলে ২ উইকেট হারালে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে এশিয়া কাপের ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের বিচারে ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সেরা বোলিং পারফরমেন্স দেখিয়েছে টাইগাররা। তাই মাঠে নামার আগে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকবে তারা।
পাশাপাশি এই সপ্তাহে দুবাইয়ে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যাচ হওয়ায় উইকেট ধীর গতির হবার আশা করা হচ্ছে। তাতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে বাংলাদেশের।
এছাড়া টস জিতলেও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। কারণ রান তাড়া করে দু’টি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। তাই টস জয়কে ভাগ্যবান প্রমাণ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’বার সহ চারটি ম্যাচ জিতেছে ভারত। কিন্তু এমন পরিসংখ্যানে চিন্তিত নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তার মতে, যেকোন দলের কাছে হারতে পারে ভারত।
ভারত ম্যাচকে সামনে রেখে সিমন্স বলেন, ‘প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। ভারত আগে কি করেছে সেটি নিয়ে চিন্তিত নই। এটি নতুন ম্যাচ। এ ম্যাচ নিয়ে আমরা ভাবছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাড়ে তিন ঘন্টার ম্যাচে যতটা সম্ভব নিজেদের সেরাটা খেলব এবং ভারতের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করব।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭ বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র একবার জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৯ সালে ভারত সফরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এরমধ্যে বাংলাদেশ মাত্র দু’বার জিতেছে এবং ১৩বার হেরেছে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া এশিয়ার কাপে দুই ম্যাচই হেরেছিল টাইগাররা।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অধিনায়ক লিটন দাস ইনজুরিতে পড়লেও তার খেলা নিয়ে সংশয় নেই। টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন লিটন। ৪ ইনিংসে ১১৯ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ দল : লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হাসান ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
ভারত : সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুন চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্ষিত রানা, রিংকু সিং।