ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : অধিনায়ক শান মাসুদের হাফ-সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯১ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান করেছে পাকিস্তান। মাসুদ সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানের সূচনা করে পাকিস্তান। ১৭ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সাইমন হার্মারের বলে আউট হন ওপেনার ইমাম উল হক।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও মাসুদ। শতরানের জুটি গড়ার পথে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন দু’জনে। শফিক ষষ্ঠ ও মাসুদ ১৩তম অর্ধশতকের দেখা পান।
হাফ-সেঞ্চুরির পর হার্মারের দ্বিতীয় শিকার হন শফিক। ক্যাচ দিয়ে একবার জীবন পেয়ে ৪টি চারে ৫৭ রান করেন শফিক। দ্বিতীয় উইকেটে শফিক-মাসুদ ১১১ রানের জুটি গড়েন।
শফিকের বিদায়ে ক্রিজ এসে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজের শিকার হবার আগে ৩টি চারে ১৬ রান করেন তিনি।
দলের রান ২শ পার করে সাজঘরে ফিরেন মাসুদ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে মহারাজের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭৬ বলে ৮৭ রান করেন পাকিস্তান দলপতি।
দিনের শেষভাগে পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৯ রানে বিদায় দেন তিনি।
এরপর দিনের শেষ ৩৮ বলে কোন বিপদ হতে দেননি সৌদ শাকিল ও সালমান আঘা। শাকিল ৪২ ও সালমান ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজ ও হার্মার ২টি করে উইকেট নেন।
এ ম্যাচে টেস্ট অভিষেক হয় পাকিস্তানের আসিফ আফ্রিদির। ৩৮ বছর ২৯৯ দিনে টেস্ট অভিষেক হল তার। পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বয়সী তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হল আসিফের। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ডের মালিক অফ-স্পিনার মিরান বখশ। ১৯৫৫ সালে ভারতের বিপক্ষে লাহোরে ৪৭ বছর ২৮৪ দিনে অভিষেক হয়েছিল মিরানের।