ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০২৫(বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম ঘোষিত নতুন মার্কিন শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অব বাংলাদেশের (আইসিসি’বি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডোনাল্ট ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের আমদানিতে ১০ শতাংশ সর্বজনীন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু দেশে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ প্ল্যান ঘোষণা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়। যা আগে গড়ে ১৫ শতাংশ ছিল।
ইতিহাসের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের শুল্ক আরোপ করেছে তা ১৯৩০ সালের পর আর দেখা যায়নি। এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড়ধরনের ধাক্কা।
বিষয়টি সমাধানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু চিঠি দিয়ে নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আরও ভালো বাণিজ্য শর্ত আদায় করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই একটি অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ, কিন্তু বৈশ্বিক আমদানির মাত্র ১৩ শতাংশ তাদের। তাই বিশ্বের বাঁকি দেশগুলো এই শুল্কের জবাবে তাদের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেয় তার উপর নির্ভর করবে এর প্রভাব কতটা গভীর ও বিস্তৃত। আমরা বিশ্বের সব সরকারকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এ সমাধান খোঁজার আহ্বান জানাই। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা দুই পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, আইসিসি বিশ্বের ৭০টি দেশের ৪৫ মিলিয়নের বেশি কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করে। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে। যে সব উন্নয়নশীল দেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে চাপে রয়েছে, তাদের উপর নতুন এই শুল্ক আরোপ আরও ক্ষতি ডেকে আনবে। যা তাদের উন্নয়নের পথকে কঠিন করে তুলবে। এই নতুন শুল্ক নীতিমালা বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিয়মভিত্তিক পরিচালনার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাদা আলোচনা করলেই হবে না, বরং সব দেশকে একত্রে কাজ করতে হবে। যেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যতে তা আরও শক্তিশালী করা যায়।