ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দুটি পৃথক বৈঠকের সভাপতিত্ব করার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুল্ক ইস্যুতে খুবই ইতিবাচক।”
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিভিন্ন আলোচনার সময়, তারা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে এলএনজি আমদানি করার পরামর্শ দিয়েছে।
মার্কিন শুল্ক ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি উদ্বেগের বিষয়। কারণ আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সাধারণত কয়েক বিলিয়ন তহবিল ঋণ দেয়।
তিনি বলেন, তবে, অনেক বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য তারা মার্কিন পক্ষের সাথে আলোচনা করেছেন। “আমরা তাদের বলেছি যে, আমরা মার্কিন তুলা আমদানির জন্য বন্ডেড গুদাম স্থাপন করব। যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের সাথে এলএনজি রপ্তানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে সম্পৃক্ত হতে চায়। তবে, আমাদের পরিবহনের খরচের দিকে নজর দিতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক পণ্য ও জেনারেটর রপ্তানি করার পাশাপাশি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও ইস্টার্ন রিফাইনারীর আধুনিকীকরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মার্কিন শুল্ক ইস্যুর প্রেক্ষিতে সরকার ইতোমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “শ্রম মান উন্নয়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করেছি। এলএনজি ও ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানির জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করেছি।”
এনবিআর পৃথকীকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এটির বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই দুটি বিভাগে দুজন সচিব থাকবেন।
তিনি বলেন, তার মার্কিন সফরের সময়, আলোচনায় কয়েকটি ইস্যু ছিল। “সামগ্রিকভাবে, আলোচনাটি আইএমএফ কর্তৃক দুটি মুলতুবি থাকা কিস্তির ছাড় অব্যাহত রাখার উপর কেন্দ্রীভূত ছিল।”
বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনার পাশাপাশি, এই সফরটি সামগ্রিকভাবে সফল হয়েছে। আইএমএফ, এডিবি, ওপেক তহবিল, আইওএম, আইএফসি এবং মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা মার্কিন জ্বালানি বিভাগ, পররাষ্ট্র বিভাগ, শ্রম বিভাগ, কৃষি বিভাগ এবং ট্রেজারি বিভাগের সাথেও বৈঠক করেছেন। “সামগ্রিকভাবে, বহুমুখী আলোচনা হয়েছে, তারা সকলেই আমাদেরকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং আলোচনা করেছে। তারা সকলেই বাংলাদেশ সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং আমি মনে করি সব বৈঠক সফল হয়েছে।”
আইএফসির সাথে তার বৈঠক সম্পর্কে, অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা আগামী দিনে দেশের বেসরকারি খাতে আইএফসি থেকে আরও তহবিল আশা করেন যাতে বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে প্রবৃদ্ধি জোরদার করা যায়।