বাসস
  ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৬

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৮ জনের প্রাণহানী, জীবিতদের উদ্ধারে অনুসন্ধান চলছে

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এ ঘটনায় নয়জন নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার শত শত উদ্ধারকারী ঘন কাদা ও ধ্বংসস্তত্মপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান করছে।

ইন্দোনেশিয়ার পেকালোঙ্গান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মধ্য জাভা প্রদেশের পেকালোঙ্গান শহরের কাছে একটি পাহাড়ি এলাকায় তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে সোমবার ভূমিধস হয়েছে। ভূমিধসের কারণে সেতু ধসে পড়ে এবং গাড়ি ও ঘরবাড়ি চাপা পড়ে। 

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা বাসার্নাস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে মৃতের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, এ ঘটনায় ১৮ জনের প্রাণহানী, নয়জন নিখোঁজ এবং আহত হয়েছেন ১৩ জন।

স্থানীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউলিয়ান আকবর বুধবার এএফপিকে বলেন, আরও একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, মৃতের সংখ্যা এখন ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

আকবর বলেন, অনুসন্ধান দলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রায় ২০০ উদ্ধারকর্মীকে সাহায্যের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ’নিহতদের বা ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করাই আমাদের লক্ষ্য,’ স্থানীয় সরকার দুই সপ্তাহের জন্য জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তার মতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল কাসিম্পার গ্রাম, যেখানে ভূমিধস একটি কফির দোকানে আঘাত হানে।

সেমারাং শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) পশ্চিমে উদ্ধারকর্মীদের সাথে পুলিশ, সৈনিক এবং স্বেচ্ছাসেবকরা অনুসন্ধানে যোগ দিয়েছেন।

কিন্তু মঙ্গলবার তীব্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি)-র মুখপাত্র আব্দুল মুহারি মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছেন, আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মাঝারি বৃষ্টিপাতের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যা ’বন্যা, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের কারণ হতে পারে’।

ইন্দোনেশিয়া বর্ষাকালে, সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকে।

নভেম্বর মাসে, পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ২৭ জন প্রাণ হারায়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট কিছু দুর্যোগ মৌসুমের বাইরেও ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা এবং শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া দেখা দিয়েছে।

মে মাসে, পশ্চিম সুমাত্রায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬৭ জন মারা যায়। মারাপি পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই, বালি এবং নুড়িপাথরের মিশ্রণ আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।