গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতে লাগবে ২১ বছর

বাসস
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৪ আপডেট: : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৭
ইসরাইলের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনের গাজা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪(বাসস): ইসরাইলি বাহিনীর দীর্ঘ আগ্রাসনে গাজায় সৃষ্ট ৫০ কোটির বেশি ধ্বংসস্তূপ সরাতে সময় লাগবে প্রায় ২১ বছর। এতে খরচ হবে ৫০ কোটি মাকিন ডলার। এমনকি থেমে গেছে উপত্যকাটির আগামী ৬৯ বছরের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা।

নিউ ইয়র্ক থেকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দীর্ঘদিন পর ঘরে ফেরার আনন্দ থাকলেও মনে শান্তি নেই গাজাবাসীর। কারণ, ইসরাইলি বর্বরতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। তবে এর মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার বাসিন্দারা। 

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে নেমেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

তারা বলছেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শহরের প্রধান রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করা। যান চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। আপাতত শুধু ধ্বংসাবশেষ সরানো কাজ চলছে, কিন্তু রাস্তা পুরোপুরি পরিষ্কার হচ্ছে না। ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়া কাজ করা অসম্ভব।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে শহরটির রাস্তা-ঘাট পরিষ্কারের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে রাফার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শহরটির মেয়র।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শহরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরো বুঝতে পারছি না। সব কিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে দ্রুত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং যোগাযোগ উন্নয়নের কাজ করা হবে।’

এদিকে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ৫০ কোটির বেশি ধ্বংসস্তূপ সরাতে প্রায় ২১ বছর সময় লেগে যেতে পারে। খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ইসরাইলি সেনাদের চালানো বর্বরোচিত হামলায় থেমে গেছে উপত্যকাটির আগামী ৬৯ বছরের উন্নয়ন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৪৪ জন আটক
টিকিটবিহীন ৪,৭৩৩ যাত্রীর কাছ থেকে রেলওয়ের সাড়ে ৮ লাখ টাকা আদায়
আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে : আব্দুল আউয়াল মিন্টু
প্রথমবারের মতো ডিআরইউ নারী সদস্যদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
তাহিতিতে ভূমিধসে ঘর চাপা পড়ে নিহত ৭
খুলনায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
ঢাবির হল পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ অব্যাহত রেখেছে কারিগরি কমিটি
সরকার রোহিঙ্গা সংকটকে আবার বৈশ্বিক ফোরামে তুলেছে : শফিকুল
সব শিশুর জন্য নিরাপদ ও সমান সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ নরওয়ের
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
১০