তেহরান ও রিয়াদ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি

বাসস
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৮

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ২০১৬ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও সৌদি আরব দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে। সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও ওমানের আয়োজনে দুই বছরের আলোচনার পর বেইজিংয়ে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিনের বৈঠক ও আলোচনার পর গত বছরের ১০ মার্চ ঘোষণা করেছে, তেহরান এবং রিয়াদ তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে। 

ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে এবং ৭ বছরে সম্পর্কের বিভিন্ন টানাপড়েনের পর দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তেহরান এবং রিয়াদের দৃঢ় সংকল্পের একটি লক্ষণ হল উভয় পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক সফর এবং ইরান ও সৌদি আরবের রাজনৈতিক কর্মকর্তারা রিয়াদ ও তেহরানে সফর করেন এবং সেইসঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সাক্ষাত এবং আলোচনা করেন।

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘নাজার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক এত জটিল যে এটি কেবল একটি স্বল্পমেয়াদী কৌশল হতে পারে না।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘ইরনা’র উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘নাজার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’র মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের পরিচালক আব্দুল আজিজ আল-কাশিয়ান একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। গাজা যুদ্ধের প্রভাব সমগ্র অঞ্চল জুড়ে অনুভূত হয়েছে এবং ইসরাইলি সামরিক হামলার ফলে লেবানন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

বাশার আল-আসাদের পর সিরিয়া এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে যা আশা এবং অনিশ্চয়তার সাথে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিবর্তনগুলো বৈশ্বিক সমীকরণের ওপর আরো বেশি প্রভাব ফেলবে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সমর্থন ইরানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলি সরকারের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকার করেছে, ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ করার নীতি কোনো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বয়ে আনে নি।

এই প্রেক্ষাপটে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান-বিরোধী অবস্থান সৌদি আরবের সার্বভৌমত্বের জন্য উদ্বেগ তৈরি করেছে যা রিয়াদকে বিবেচনায় নিতে বাধ্য করা হবে।

সৌদি আরব ওয়াশিংটন, তেল আবিব এবং তেহরানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনায় জড়াতে চায় না। এই ত্রিপক্ষীয় উত্তেজনা কেবল ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ককেই প্রভাবিত করবে না বরং ইরানের সঙ্গে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সম্পর্ককেও প্রভাবিত করবে এবং এই সম্পর্কের কাঠামোর ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছেন নাইম
টানা দ্বিতীয় এনসিএল টি-টোয়েন্টি শিরোপায় চোখ রংপুরের
শেরপুরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নারী সমাবেশ
একটি রাজনৈতিক দল ইসলাম ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে : এ্যানি
সাবেক নৌপ্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সরওয়ার জাহান নিজামের দাফন সম্পন্ন
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত বিদেশিদের গ্রহণ করল গুয়াতেমালা
চট্টগ্রামে আগামীকাল শুরু হচ্ছে স্তন ক্যানসার প্রশিক্ষণ 
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয়েছে, এবার সুশাসনের জন্য বিপ্লব করতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
ফরিদপুরে গ্রামীণ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হাজারো মানুষের ঢল
কর্ণফুলীর ডিপ সি ডক এলাকা থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১০