ঢাকা, ৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ শুক্রবার জানিয়েছেন, তিনি আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আবুধাবির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চলমান গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনতে কাজ করছে।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, লাপিদ বৃহস্পতিবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার বন্ধু, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবিজেড-এর সঙ্গে গতরাতে আবুধাবিতে।’
তিনি পোস্টে লেখের, ‘আমরা আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং গাজা ইস্যুতে একটি চুক্তি ও জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে লাপিদের দাবি অনুযায়ী আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
ডব্লিউএএম জানায়, লাপিদ ও শেখ আবদুল্লাহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক্স-এ লাপিদ স্কাই নিউজ আরাবিয়ার একটি সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘প্রভাবশালী প্রতিটি আরব দেশ, এই অঞ্চলের প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত হামাসকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি গ্রহণে বাধ্য করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।’
‘এটি গাজার জনগণের জন্য মঙ্গলজনক, ইসরাইলিদের জন্য মঙ্গলজনক, জিম্মিদের জন্য মঙ্গলজনক এবং গোটা অঞ্চলের জন্যই ভালো।’
এদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব নিয়ে অন্যান্য ফিলিস্তিনি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছে, যা আলোচনার সম্ভাব্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানান, যে প্রস্তাবের প্রতি ইসরাইলের সমর্থন রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামলায় জিম্মি করা ২৫১ জনের মধ্যে এখনও ৪৯ জন গাজায় অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জন ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
জবাবে ইসরাইলি সামরিক অভিযানে গাজায় অন্তত ৫৭,১৩০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানিয়েছে। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।