
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দখলে নেওয়ার পরেও সুদানের আল-ফাশের শহর এবং এর আশেপাশে গণহত্যা সম্ভবত অব্যাহত রয়েছে। স্যাটেলাইটে ধারণকৃত নতুন ছবিতে এর প্রমাণ মিলেছে।
পোর্ট সুদান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আরএসএফ গত রোববার আল-ফাশের দখল করে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীকে তাদের শেষ শক্ত ঘাঁটি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
আল-ফাশেরে সেনাবাহিনীর পতনের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর আক্রমণ, লুটপাট ও অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব শুক্রবার জানায়, নতুন চিত্র বিশ্লেষণে তারা মনে করছেন, শহরের অধিকাংশ মানুষ হয়তো ‘মৃত, বন্দি অথবা আত্মগোপনে’ রয়েছেন।
গবেষকরা গত সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে আল-ফাশেরের বিভিন্ন এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ এবং সামরিক স্থাপনায় মানবদেহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কমপক্ষে ৩১টি বস্তু শনাক্ত করেছে।
গবেষকরা জানান, সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
আল-ফাশের থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নিকটবর্তী শহর তাবিলায় পৌঁছানো কয়েকজন এএফপিকে গণহত্যা, বাবা-মায়ের সামনে শিশুদের গুলি করা এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক নাগরিকদের মারধর ও লুটপাটের কথা জানান।