
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আবারও জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চান। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, এটি কী ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বিস্ফোরণমূলক পরীক্ষা হবে কিনা-যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এএফপির এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কিছু বলব না। খুব শিগগিরই জানতে পারবেন। আমরা কিছু পরীক্ষা করব, হ্যাঁ। অন্য দেশগুলো করে। যদি তারা করে, আমরাও করব।’ ফ্লোরিডায় হ্যালোইন উদযাপন করতে যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর কোরিয়া ছাড়া গত কয়েক দশকে কোনো দেশ বিস্ফোরণমূলক পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়নি। রাশিয়া ও চীন যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালের পর এমন পরীক্ষা করেনি।
৭৯ বছর বয়সি রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের কয়েক মিনিট আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে আকস্মিকভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দেন।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’ এবং পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবো ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে।
ট্রাম্পের নির্দেশকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘এক পারমাণবিক শক্তিধর দাদাগিরি করছে, আবার শান্তিপূর্ণ ইরানি কর্মসূচিকে অপবাদ দিচ্ছে।’
এছাড়া জাপানের পারমাণবিক বোমা হামলার বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন ‘নিহন হিদানকিও’ যুক্তরাষ্ট্রের জাপান দূতাবাসে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে। তারা বলেন, ‘এই নির্দেশ বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর প্রচেষ্টার পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’