সাতক্ষীরায় দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত রূপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট

বাসস
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫৯
ছবি : বাসস

\ আসাদুজ্জামান \

সাতক্ষীরা, ৪ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস): দর্শণার্থীদের জন্য অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে জেলার দেবহাটা উপজেলার রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নদী ইছামতির কোল ঘেঁষে এ পর্যটন কেন্দ্রটি বর্তমানে ঈদে ছুটিতে বাড়িতে আসা দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। 

দেবহাটা উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রটি দর্শণার্থীদের কাছে ইতিমধ্যে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই স্পটটিতে বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ছুটি ও বিভিন্ন উৎসব ঘিরে প্রায় প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার দর্শণার্থীদের পদাচারনা ঘটে এ বিনোদন কেন্দ্রে।

মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিত রূপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট মধ্যে কেওড়া, গোল, বাইন, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালীর মধ্যে হরেক রকমের হাঁস, মুরগী, খরগোশ, বানর ও পাখি এনে দিয়েছে এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিভিন্ন জাতের কবুতর, লাভ বার্ড, কোকাটেল, পাজেরিকা, টিয়া পাখি, তোতাপাখি ও ইমু পাখিসহ বহু পাখির আবাসস্থল এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারনে মিনি সুন্দরবন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ। কেউ কেউ আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে, আবার কেউ কেউ আসছেন বন্ধু, বান্ধবী ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে গেস্ট হাউস। এছাড়া পর্যটকদের জন্য পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নামাজের স্থান। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় তিন নদীর মোহনায় ১৫০ বিঘা জমিতে অবস্থিত এ বনের বুক চিরে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে রয়েছে অনামিকা লেক, পিকনিক স্পট, শিশুপার্ক, কনফারেন্স রুম, পাকা ট্রেইল, সেলফি পয়েন্ট, প্যাডেল চালিত বোট। এছাড়া রয়েছে ইছামতির পাড়ে বসে সূর্যাস্ত উপভোগের অসাধারন একটি জায়গা। ইছামতি নদী ভ্রমণের জন্য এখানে আছে নৌকা। স্থলে বেড়ানোর জন্য আছে ঘোড়া। বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য রয়েছে ট্রেন। 

ঘুরতে আসা দর্শণার্থী মোফাজ্জেল হোসেন বাবু জানান, মিনি সুন্দরবনটি ইছামতি নদীর পাড়ে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এপাশে বাংলাদেশ, অপরপাশে ভারত আর মাঝখানে নদী। জায়গাটি অত্যান্ত নিরিবিলি হওয়ায় সব বয়সী মানুষের কাছে এটি অত্যান্ত প্রিয়। এছাড়া বিভিন্ন দিবস বা ছুটির দিনে বেশি দুরে না গিয়ে দেবহাটায় এসে সুন্দরবন ভ্রমনেরও স্বাদ পান তারা।
 
পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সোহেল জানান, বিনোদন কেন্দ্রে এসে যাতে কেউ কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে তাদের স্টাফরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। 

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, জেলার মধ্যে এই রূপসী ম্যানগ্রোভটি একটি আকর্ষনীয় জায়গা। এ বিনোদন কেন্দ্রটির আরও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জাপানে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে’ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন
জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সংস্কার যাত্রা শুরু না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান সফল হবে না: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
২০২৬ সালের মধ্যে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি চুড়ান্ত করতে চায় বাংলাদেশ-ইইউ
ডিপিএল: কাল আবাহনী-মোহামেডান হাইভোল্টেজ লড়াই
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি
২০২৬ সালের প্রথম দিকে পটুয়াখালী ইপিজেডে প্লট বরাদ্দ শুরু করবে বেপজা
জীবাশ্ম নির্ভর জ্বালানি মহাপরিকল্পনা সংশোধনের দাবি তরুণ জলবায়ু কর্মীদের
নাগরিক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য পিংকি কারাগারে
১০