পটুয়াখালী, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ পটুয়াখালীর বাউফলে পুলিশের গুলিতে আহত মো. আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭) গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছেন। আজ শনিবার তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হৃদয়ের জানাজায় অংশ নেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও জুলাই আন্দোলন সংক্রান্ত লিগ্যাল সাপোর্ট টিম প্রধান মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
জানাজা শেষে তিনি বাসসকে বলেন, হৃদয় হোসেন চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার হওয়ার জন্য হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাননি। তিনি হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, চাঁদাবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি পরিবর্তনের জন্য রাজপথে নেমেছিলেন। বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। হৃদয় নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দেননি। রাষ্ট্রের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে গেছেন শহীদ হৃদয়। তাকে আমরা নতুন বাংলাদেশে অমর করে রাখবো।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই যুগ্ম আহ্বায়ক আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা পাখির মতো বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। যা থেকে শিশু, নারী কেউ রেহাই পায়নি। খুনের বেলায় হাসিনা কোনো বাচবিছার করেনি। তিনি অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেশের মানুষদের জীবন নিয়ে খেলেছেন। আমরা এই বীর সেনা জুলাই যোদ্ধাদের আজন্ম স্মরণে রাখবো। এই খুনের বিচার হইতে হবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক নির্বাহী সদস্য আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আমি শহীদ হৃদয় হোসেনের পরিবারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি বিধিমোতাবেক আর্থিক সহায়তা করব। আমাদের হৃদয় হোসেন যে কারণে শহীদ হয়েছে সেই বিপ্লব আমাদের ধরে রাখতে হবে। সেই চেতনা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমরা সকল বৈষম্য ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকব। কাউকে বৈষম্যের শিকার হতে দেব না। নতুন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যের ঠাই নাই। চাঁদাবাজদের ঠাই নাই। দুর্নীতিবাজদের ঠাই নাই।