ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট আজ দেশের তিনটি স্থানে পৃথক তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক জানায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদান, ওষুধ বিতরণে অনিয়ম এবং রোগী হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, গাজীপুর থেকে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, ওষুধের মজুত ও বিতরণ রেজিস্টার, রোগীদের খাবারের মানসহ বিভিন্ন বিষয় সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, হাসপাতাল স্টোরে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং যন্ত্রাংশ নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সম্পদের অপচয় বলে প্রতীয়মান হয়।
পাশাপাশি ওষুধ বিতরণে অনিয়মেরও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এছাড়া বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে ভূমি রেকর্ড এবং ভূমি সংক্রান্ত সেবায় হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশাল থেকে আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি একজন দালালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছেন, তবে দালালের নাম বা পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
এ সময় এনফোর্সমেন্ট টিম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারকে দালালমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেয়। সংশ্লিষ্ট অফিসার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন যাতে সেবাগ্রহীতারা সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অন্যদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারি ও ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সেবায় হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার থেকে অভিযান পরিচালিত হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে এবং অভিযোগে উল্লিখিত নামজারি আবেদন নং-১৯৭০/২৫ সংক্রান্ত আপত্তির বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন।
সরাসরি ভুক্তভোগীদের সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের ঘুষ সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এনফোর্সমেন্ট টিম সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাই করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।
দুদক জানায়, দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।