শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : শ্রম উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০০:৩২
সোমবার রাজধানীর বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : দেশের শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'ওয়ার্ল্ড ডে ফর সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক-২০২৫' উপলক্ষে আয়োজিত ওএসএইচ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০৩ সাল থেকে ২৮ এপ্রিলকে পেশাগত দুর্ঘটনা ও রোগ প্রতিরোধের প্রচার এবং কর্মক্ষেত্রে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিবস পালন করে আসছে। এ বছরে দিবসটি উদযাপনের প্রতিপাদ্য-'পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের রূপান্তর: বাংলাদেশে ওএসএইচ-এর ভবিষ্যৎ'।

এই প্রতিপাদ্য আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড শ্রমজীবী মানুষ তাদের প্রাপ্য নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দেয়।

পরিবহণ সেক্টরে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক ইনফরমাল সেক্টরের। কর্মক্ষেত্রে এ সকল শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি আরো বলেন, এছাড়াও নারী শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিতে থাকে। আমরা কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা  নিশ্চিত করছি। যে সকল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি শ্রম আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত না তাদেরকে কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা ।

উপদেষ্টা আরো বলেন, সম্প্রতি রাজশাহীতে ডিআইআই-ই-এর অধীনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি শ্রমিক দুর্ঘটনা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের প্রথম বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থার মাধ্যমে, কারখানার শ্রমিক, মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আগ্রহী সংস্থা ও ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এই সংস্থা বাংলাদেশের শ্রম খাতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সামগ্রিক উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়ন, পেশাগত দুর্ঘটনা, পেশাগত রোগ এবং শ্রমিকদের কল্যাণ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী ওএসএইচ সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক, সুশীল সমাজ এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি এবং গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : শ্রম উপদেষ্টা
ট্রাম্পের গভীর সমুদ্র খনন নির্দেশনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : ফ্রান্স
কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম অবনতি
কানাডায় ভোটগ্রহণ শুরু
মে মাসে তিন দিনের আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা পুতিনের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে চ্যাথাম হাউসের প্যাট্রিক শ্রোয়েডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল বরিশালে স্থাপনের দাবি
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আগামীকাল পুলিশ সপ্তাহ শুরু
দেশের মানুষ প্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেখতে চায় : মির্জা ফখরুল 
১০