আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থায় পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাংলাদেশ

বাসস
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৪

ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা (আইএমও)-এর ২০২৬-২৭ মেয়াদের কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা দাখিল করেছে।

এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ, সুরক্ষিত ও টেকসই সামুদ্রিক কার্যক্রমে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হল।

এ বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার লন্ডনে আইএমও সদর দফতরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বাংলাদেশের পক্ষে প্রার্থিতা উপস্থাপন করেন।

আইএমওতে মোট তিনটি বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো- এ, বি ও সি। বাংলাদেশ ‘সি’ বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেখানে ২০টি আসনের জন্য লড়ায়ে নামবে ২৭টি দেশ। এই আসনগুলো সামুদ্রিক পরিবহন ও নৌ চলাচলে বিশেষভাবে আগ্রহী দেশগুলোর জন্য সংরক্ষিত।

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচন প্রতি দুই বছর পরপর তিনটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নির্বাচিত সদস্যরা দুই বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে।

লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও আইএমও-তে স্থায়ী প্রতিনিধি আবিদা ইসলাম, আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজ এবং আইএমও তে নিযুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী একটি সামুদ্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যার পেছনে রয়েছে দেশের কৌশলগত অবস্থান ও সমৃদ্ধ নৌ-ঐতিহ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে। যা দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

১৯৭৬ সালে আইএমও-তে যোগদানের পর থেকে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ জাহাজ চলাচলের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রেখে আসছে।

বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত ও বিশ্বজুড়ে কর্মরত ২১ হাজার অভিজ্ঞ নাবিক। যাদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণও বাড়ছে, উল্লেখ করে নৌপরিবহন সচিব বলেন, এগুলো বাংলাদেশের সামুদ্রিক উৎকর্ষে দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরিবেশবান্ধব জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পর্যায়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে এ খাতে বিশ্বের মোট সক্ষমতার প্রায় অর্ধেকই জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ।

নৌপরিবহন সচিব আরো বলেন, ‘আইএমও কাঠামোর আওতায় স্বল্পোন্নত দেশ, ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র, ভূমিবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ।’

প্রার্থিতা ঘোষণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কয়েকটি অঙ্গীকার করেছে—এর মধ্যে রয়েছে নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সামুদ্রিক কার্যক্রমে উৎসাহ দেওয়া, পরিবেশবান্ধব জাহাজ ভাঙা শিল্পকে সমর্থন, সামুদ্রিক শিল্পে নারীর ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার।

জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আইএমও বিশ্বজুড়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং জাহাজ থেকে সৃষ্ট দূষণ রোধে কাজ করে থাকে। এর কার্যক্রম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।

বর্তমানে আইএমও’র সদস্য সংখ্যা ১৭৬টি এবং সহযোগী সদস্য তিনটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মীরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারা
লেবাননের ভেতরে দেয়াল নির্মাণ করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনের প্রবেশপথ অবরোধ করল আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের বৈঠক
শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন : ডা. জাহিদ
সিলেটে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ জন রাজধানীতে গ্রেফতার 
রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক সম্মেলন
লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউকের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০