কক্সবাজার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য গবেষণা জাহাজ ‘আর ভি মীন সন্ধানী’র চলমান জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম গতকাল ও আজ সকালে পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মৎস্য অধিদফতরের আধুনিক এই জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে মৎস্য গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে।
উপদেষ্টা জাহাজে ব্যবহার করা আধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণার অগ্রগতি ও সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন। জাহাজটি সমুদ্রের গভীরতা, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির গুণমান ও জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে কক্সবাজারের ইনানি থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল গভীর সমুদ্রে ডেমারসাল (সমুদ্রতল সংলগ্ন মাছ ও প্রাণীর) সার্ভে এবং রাতে কলাতলী থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল গভীরে শ্রিম্প (চিংড়ি) সার্ভে পরিচালিত হয়। এ সময় ট্রলিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০ প্রজাতির মাছ ও ১০ প্রজাতির চিংড়ি ধরা হয়। ট্রল নেট সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
পরিদর্শনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ ও আর ভি মীন সন্ধানী জাহাজের স্কিপার লে. কমান্ডার শরফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করেন।
এ পর্যন্ত ‘মীন সন্ধানী’ জাহাজ ৫৪টি গবেষণা অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অঞ্চল ও গভীরতা থেকে ৪৫৯ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫৩ প্রজাতির মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ৩০ প্রজাতির হাঙর ও হাউস, ২৭ প্রজাতির কাঁকড়া, ৩ প্রজাতির লবস্টার, ১৪ প্রজাতির সেফালোপোড এবং ৬ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ।
বর্তমানে জাহাজটি শ্রিম্প সার্ভে (১০-১০০ মিটার), ডেমারসাল সার্ভে (১০-২০০ মিটার) এবং পেলাজিক সার্ভে (১০-২০০ মিটার) কার্যক্রম চালাচ্ছে।