মানিলন্ডারিং : বিএনপির প্রয়াত নেতা সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পায়নি সিআইডি

বাসস
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৫
বিএনপির প্রয়াত নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বিএনপির প্রয়াত নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পায়নি সিআইডি।

২০১০ সাল মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বিএনপি প্রয়াত নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধানমন্ডি ধানায় একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। মামলার ১৫ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ না পেয়ে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) এসআই খালিদ সাইফুল্লাহ। গত মাসে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরি আজ বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ উল্লেখ করেন, মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য, সাক্ষ্য-প্রমাণ, জব্দকৃত আলামত, মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা, গোপন মাধ্যম হতে প্রাপ্ত সংবাদ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার ঘটনা সংক্রান্তে সাক্ষীদের জবানবন্দী পর্যালোচনায় প্রতিয়মান হয় যে মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পূর্ববর্তী তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১০ সালে হংকং, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে এমএলএআর প্রেরণ করেন। হংকং এ প্রেরিত এমএলএআর এর জবাব আসলেও সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে প্রেরিত এমএলএআর এর জবাব অদ্যবধি পাওয়া যায় নাই। উল্লিখিত এমএলএআর এর জবাব পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দেয়া হলেও জবাব আসে নাই। যার কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বর্ণিত ব্যাংক হিসাব থেকে ইউএস ডলার ও হংকং ডলার স্থানান্তর হয়েছে কি না এবং জিডিআর ক্রয় করেছে কিনা সে বিষয়ে সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। জব্দকৃত আলামত অভিযুক্ত ব্যক্তির আয়কর নথি পর্যালোচনা করেও মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোনো সঠিক তথ্য উপাত্ত বা সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন, মামলাটি তদন্তের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী কর্তৃক এজাহারে বর্ণিত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯-এর ৪(২) ধারার অপরাধের অভিযোগ তদন্তকালে সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় এবং মামলার তদন্তে নতুন কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তথ্যগত ভুল মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় এজাহারনামীয় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ এর ৪(২) ধারার অপরাধ সংক্রান্তে সঠিক তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি জীবিত না থাকায় তাকে অত্র মামলার দায় হতে অব্যহতি প্রদানের সুপারিশ করা হলো।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির তৎকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙ্গন আতঙ্কে উপকূলীয় বাসিন্দারা
টাঙ্গাইলের শুভ সূচনা
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭ দফা ঘোষণাপত্র প্রকাশ
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা পঞ্চম সিরিজ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার
তুরাগকে উত্তরা থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
চীনে নির্মাণাধীন সেতু দুর্ঘটনায় নিহত ১০, নিখোঁজ ৪ 
চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ত্রাস শফি অস্ত্রসহ গ্রেফতার
ইউক্রেনের আরো ৩ গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেফতার
১০