ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় আজ রাজধানীসহ সারা দেশে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘মধু পূর্ণিমা’ উদযাপন করেছে ।
বাংলাদেশের বৌদ্ধরা বিশেষত ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, চট্টগ্রামের বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল এবং তিন পার্বত্য জেলায় এ দিনটি পালন করে থাকেন, যা সেপ্টেম্বর মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়।
বাংলা ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত এ পবিত্র উৎসবটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ভারতের পারিলেয়ো অরণ্যে গৌতম বুদ্ধকে পশুদের সেবা ও সহায়তার স্মৃতি।
কিংবদন্তি অনুযায়ী, এক বুনোহাতি ও নামের এক বানর এ সময় বনে তপস্যারত বুদ্ধকে আহার জুগিয়েছিল- হাতি ফল আর বানর মধুর চাক এনেছিল।
বুদ্ধ উপহার গ্রহণ করায় বানরটি উৎফুল্ল হয়ে গাছ থেকে গাছে লাফাতে লাফাতে শেষে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে তার দানশীলতার ফলে সে সঙ্গে সঙ্গেই দেবলোকে পুনর্জন্ম লাভ করে।
দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সব বিহারে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন এবং ত্রিপিটকের পবিত্র শ্লোকপাঠের মধ্য দিয়ে।
এ ছাড়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভিক্ষুদের উপবাস ভঙ্গ, আলোচনা সভা, মধু প্রদান, রক্তদান কর্মসূচি এবং সন্ধ্যায় সব বিহারে আলোকসজ্জা।
রাজধানীতে প্রধান ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার, বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, সাভারের আশুলিয়া বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, মিরপুরের আদিবাসী বৌদ্ধ মন্দির এবং অন্যান্য বৌদ্ধ বিহারে।
চট্টগ্রামে প্রধান ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার, কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহার, দেবপাহাড়ের পূর্ণচার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মুঘলটুলি শাক্যমুনি শ্মশান বিহার, আগ্রাবাদ ও চন্দনগাঁও বিশ্বমৈত্রী বিহারে।
সব বিহারে দেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।