টেকসই কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার : কৃষি সচিব

বাসস
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ২১:১১ আপডেট: : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৩৩
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, আধুনিক ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরেই এর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হবে। ভবিষ্যতে কৃষি ঝুঁকি, প্রযুক্তির অগ্রগতি, যান্ত্রিকীকরণ, পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার, উন্নত বাজার ব্যবস্থাপনা, রফতানিসহ সকল বিষয় সমন্বিতভাবে ২৫ বছরের জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আজ ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান সচিব।

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) ২৫ বছর পূতি উপলক্ষ্যে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল- ‘কৃষির রূপান্তর : দেশীয় উপযোগী কৃষিযন্ত্র ও কৃষিপণ্য রপ্তানির চ্যালেঞ্জ’। বিএজেএফ’র সভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু খালিদের সঞ্চালনায় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব আরো জানান, ১৩টি মূল খাত এবং এর অধীন অসংখ্য উপ-খাতকে সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৭টি সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্যও আলাদা ২৫ বছর মেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদে কয়েকটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পও নেয়া হবে।

সার ব্যবস্থাপনা সংস্কার নিয়ে সচিব বলেন, আমরা এমন একটি নীতি প্রণয়ন করছি যাতে প্রতি বছর দুই-তিন হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। চলতি বছর সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ৬০০ কোটি টাকা ফেরত গেছে সরকারের কোষাগারে। ২০ কোটি দিয়ে পুরো প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হয়েছে। সবজির দাম কেজি ১০০ টাকা হলে কেউ কথা বলেন না, কিন্তু পেঁয়াজের দাম ১০০ হলেই আলোচনার ঝড় ওঠে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আদা ও পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যও তুলে ধরেন তিনি।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) যান্ত্রিক ধান চাষাবাদ প্রকল্পের পরিচালক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, কৃষিকে কেবল উৎপাদনের খাত হিসেবে দেখলে হবে না, একে লাভজনক, সম্মানজনক ও শিক্ষিত পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর খাদ্যনিরাপত্তাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। তখন প্রতি হেক্টরে দেড়-দুই টন উৎপাদন হতো। এখন অনেক জায়গায় তা আট থেকে ১০ টন ছাড়িয়ে গেছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিশ্ব বাজার চার ট্রিলিয়ন ডলারের। আমাদের দেশে বাজার মাত্র এক বিলিয়ন ডলার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
টিকিটবিহীন ৪,৭৩৩ যাত্রীর কাছ থেকে রেলওয়ের সাড়ে ৮ লাখ টাকা আদায়
আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন হবে : আব্দুল আউয়াল মিন্টু
প্রথমবারের মতো ডিআরইউ নারী সদস্যদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
তাহিতিতে ভূমিধসে ঘর চাপা পড়ে নিহত ৭
খুলনায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
ঢাবির হল পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ অব্যাহত রেখেছে কারিগরি কমিটি
সরকার রোহিঙ্গা সংকটকে আবার বৈশ্বিক ফোরামে তুলেছে : শফিকুল
সব শিশুর জন্য নিরাপদ ও সমান সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ নরওয়ের
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে হবে : ইসি সচিব
১০