বাসস
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৬
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৪

খুলনাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় বরিশালের

ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা পঞ্চম জয়ের স্বাদ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে নিজেদের ১০ম ম্যাচে আজ বরিশাল ৫ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে।

এই জয়ে ১০ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে বরিশাল। ১০ ম্যাচে বরিশালের সমান ১৬ পয়েন্ট আছে রংপুর রাইডার্সেরও। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে টেবিলের শীর্ষে আছে রংপুর। তাদের রান রেট ১.০৭০ এবং বরিশালের ১.০৩৩। ১০ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে আছে খুলনা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে খুলনাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাইমের দৃঢ়তায় ৩৩ বলে ৪৭ রানের সূচনা পায় খুলনা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে বোল্ড করে খুলনার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন পেসার এবাদত হোসেন। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৮ বলে ২৯ রান করেন খুলনার অধিনায়ক মিরাজ।

দ্বিতীয় উইকেটে বরিশালের বোলারদের উপর চড়াও হন নাইম ও অ্যালেক্স রস। দু’জনে ২০ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে ১৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাইম।

এবারের বিপিএলে ২৬ বলে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পাবার পরের ডেলিভারিতে ফাহিম আশরাফের শিকার হন নাইম। ২৭ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে ৫১ রান করেন নাইম।

দলীয় ৯৯ রানে নাইম ফেরার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি রস। ১৫ বলে ২০ রান করে স্পিনার মোহাম্মদ নবির শিকার হন ।

চতুর্থ উইকেটে ২১ বলে ৩৩ রানের জুটিতে খুলনার বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন আফিফ ও উইলিয়াম বোসিস্তো। ২টি করে চার-ছক্কায় আফিফ ২৭ বলে ৩২ রানে আউটের পর স্লগ ওভারে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম।

২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১২ বলে মাহিদুলের অনবদ্য ২৭ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা। ১৬ বলে ২টি চারে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন বোসিস্তো।

ফাহিম ২টি, জেমস ফুলার-নবি ও এবাদত ১টি করে উইকেট নেন।

১৮৮ রানের টার্গেটে ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বরিশাল। খুলনার পেসার আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ হবার আগে ১টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে ১১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।

দলীয় ১১ রানে হৃদয় ফেরার পর খুলনার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান। পাওয়ার প্লেতে এই জুটি ৫৬ রান সংগ্রহ করেছে । ১১তম ওভারে দলের রান ১শতে পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করে পেসার সালমান ইরশাদের শিকার হন তামিম। মালানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৯১ রান যোগ করেন তামিম। এই জুুটিতে ২৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৬৬তম অর্ধশতক করেন মালান।

হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস বড় করার চেষ্টা করে ৬৩ রানে থামেন মালান। আফিফের শিকার হবার আগে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৬৩ রান করেন তিনি।

১৩তম ওভারে দলীয় ১২১ রানে মালান ফেরার পর বরিশালের রানের গতি ধরে রাখেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এতে ১৬তম ওভার শেষে বরিশালের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৫১ রান। শেষ ৪ ওভারে ৩৭ রান দরকার ছিল বরিশালের।

কিন্তু ১৭তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আউট হন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রানে রান আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ২টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান করেন মুশফিক।

পরপর দুই বলে দলের সেরা দুই ব্যাটার বিদায় নিলে জয়ের জন্য ২১ বলে ৩৬ রান দরকার ছিল বরিশালের। ষষ্ঠ উইকেটে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রান যোগ করে ৫ বল বাকী থাকতে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন দুই বিদেশী রিক্রুট ফাহিম ও নবি।

৬ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ফাহিম ১৮ এবং নবি ১টি ছক্কায় ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। আবু হায়দার ২টি, সালমান ও আফিফ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মালান।