ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের উৎসব’কে সামনে রেখে দেশের সব জেলার অংশগ্রহণে আগামী ২৯ জুলাই শুরু হচ্ছে জাতীয় কাবাডি (পুরুষ ও নারী) চ্যাম্পিয়নশিপ।
আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
জাতীয় কাবাডি (পুরুষ ও নারী) চ্যাম্পিয়নশিপকে আটটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে রয়েছে আটটি করে জেলা । দেশের প্রধান প্রধান নাদ-নদীর নামে জোনগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। জোনগুলো হল- পদ্মা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী, রুপসা, ধানসিঁড়ি, সুরমা এবং মধুমতি।
প্রতিটি জোনের খেলার জন্য নির্দিষ্ট ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। পদ্মা জোনের বগুড়া জেলা, তিস্তা জোনের রংপুর জেলা, ব্রহ্মপুত্র জোনের টাঙ্গাইল জেলা, কর্ণফুলী জোনের কুমিল্লা জেলা, রুপসা জোনের যশোর জেলা, ধানসিঁড়ি জোনের বরিশাল জেলা, সুরমা জোনের সিলেট জেলা ও মধুমতি জোনের গোপালগঞ্জের বাংলাদেশ ন্যাশনাল কাবাডি একাডেমি।
জোনাল পর্যায়ের খেলা শেষে প্রতিটি জোনের বিজয়ী দল নিয়ে হবে আন্তঃজেলা চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখান থেকে সেমিফাইনালের চার দল সার্ভিসেস দলের সাথে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে।
এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ২০ বছরের জন্য গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অনুকূলে লিজ প্রদান করেছে। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স কাবাডি ফেডারেশনকে লিজ প্রদান করেছি। তারা আগ্রহী ছিল। এজন্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। যে কোন ফেডারেশন এরকম ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার জন্য আবেদন করলে আমরা ঢাকার বাইরে দিতে আগ্রহী। ইতিবাচক ধারণা নিয়েই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘১২ একর জমির উপর প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্স থাকবে পরিপূর্ণ একাডেমিক কার্যক্রম। বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দল ছাড়াও পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের অনুশীলন সুবিধা, ফিটনেস ট্রেইনার, রেফারিজ, কোচেস এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ কমপ্লেক্সে। বরাদ্দকৃত গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আছে ইনডোর, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, হোস্টেল, দু’টি খেলার মাঠ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর শুরু করা হবে প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্স।’
এদিকে, প্রথমবারের মতো মাসিক বেতন পাবেন নারী কাবাডি খেলোয়াড়রা। প্রাথমিকভাবে বাহরাইনে অনুষ্ঠিতব্য ইয়ুথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে যাওয়া নারী অনূর্ধ্ব-১৮ কাবাডি দলের ২০ জন সদস্যকে এই মাসিক বেতনের আওতায় আনা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, ‘মেয়েদের পর পর্যায়ক্রমে ছেলেদের কাবাডি দলের খেলোয়াড়দেরও মাসিক বেতনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে কাবাডি ফেডারেশন। বাংলাদেশের কাবাডির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মত কাবাডি খেলোয়াড়দের মাসিক বেতনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, যা দেশের কাবাডি অঙ্গনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক পরিবর্তন। এই পদক্ষেপ কাবাডির উন্নয়নে একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এদিকে, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত ক্রীড়াপঞ্জিও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন ।