ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল শনিবার বলেছেন, আগাম নির্বাচনের আগে তার রক্ষণশীল দল তিনি ত্যাগ করছেন। সামরিক আইন জারির এক বিপর্যয়কর প্রচেষ্টার জন্য গত মাসে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তিনি এ ঘোষণা দিলেন।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইউনের উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য আগামী ৩ জুন ভোটে যাচ্ছে। পদ থেকে অপসারণ দেশ এবং তার পিপল পাওয়ার পার্টিকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
বিদ্রোহের ফৌজদারি অভিযোগে বিচারাধীন ইউনকে বহিষ্কার করার জন্য দলটির ওপর চাপ রয়েছে। কারণ প্রধান বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং জরিপে এগিয়ে আছেন।
ইউন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি আজ পিপল পাওয়ার পার্টি ত্যাগ করছি’। জনগণকে পিপিপির দলীয় প্রার্থী কিম মুন-সুকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিম মুন-সু সাবেক প্রেসিডেন্টের শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আমার দায়িত্ব পালন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’
শনিবার, ইউন বলেন, আসন্ন আগাম নির্বাচন ‘সর্বগ্রাসী একনায়কতন্ত্র রোধ এবং উদার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষার শেষ সুযোগ’।
শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ গ্যালাপ জরিপ অনুসারে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লি বর্তমানে একাধিক ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি ৫১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন, পিপিপির কিম ২৯ শতাংশের সমর্থন নিয়ে পিছিয়ে রয়েছেন।
পিপিপির প্রার্থী কিম একমাত্র মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি ইউনের বেসামরিক শাসনের সংক্ষিপ্ত স্থগিতাদেশ রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কিম এই সপ্তাহের শুরুতে প্রথমবারের মতো ইউনের সামরিক আইন প্রয়োগের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, বলেছেন যে তিনি ‘যারা এর কারণে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।