
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চীন সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও টলমলে অর্থনীতি সত্ত্বেও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন।
সোমবার প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আসাহি শিম্বুন পত্রিকার জরিপে দেখা যায়, জাতীয়তাবাদী এ নেত্রীর মন্ত্রিসভার প্রতি ৬৯ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে।
মাত্র ১৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
অন্যদিকে, কিয়োডো নিউজের আরেক জরিপেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
সেখানে সমর্থনের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সরকারকে সমর্থন করেনি জরিপে অংশগ্রহণকারী মাত্র ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
গত ২১ অক্টোবর জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন তাকাইচি।
৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি জানান, তিনি প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন এমনকি চলতি মাসের শুরুতে ভোর ৩টায় তিনি কর্মীদের বৈঠকে ডাকেন।
এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফর এবং দু’টি আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে একটি মালয়েশিয়ায় ও অন্যটি দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সম্মেলনগুলোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে।
তবে, গত ৭ নভেম্বর পার্লামেন্টে তাইওয়ান নিয়ে তার মন্তব্যের জেরে কূটনৈতিক বিরোধ সৃষ্টি করেছে। চীন এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নিজ দেশের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা তার পূর্বসূরী ইশিবার পতনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
তাকাইচির সরকার ১৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনের (১১০ বিলিয়ন ডলার) প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত হতে পারে।