শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস্ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আজ একটি হোটেলে 'বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়' শীর্ষক একটি রিজিওনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি'র স্টিফান লিলার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সভাপতিত্ব করেন।
সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখা হতে চট্টগ্রামে কর্মকরত ৫৭ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে এই সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছিল। এছাড়াও সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌশুলি, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত এ খসড়া অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালু করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।